মশি উদ দৌলা রুবেল, ফেনী।। ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার আমজাদ হাট ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আমিনুল করিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার দক্ষিণ ধর্মপুরের শাহ জাহানের স্ত্রী পাখি আক্তার প্রকাশ করিমের নেছা একটি ইউপি প্রত্যায়ন পত্রের জন্য আমজাদ হাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির হোসেন মিরুর কাছে কাছে যান।
তিনি সচিব কে ডেকে বলেন প্রত্যয়ন পত্রটি দিয়ে দাও।সচিব আমিনুল করিম প্রত্যয়ন পত্রটি অনলাইন থেকে বের করে তারপর গ্রাহকের হাতে দেয় এবং গ্রাহকের কাছে ১ হাজার টাকা দাবি করে।গ্রাহক ১ হাজার টাকা দিতে অস্বীকার করে। পরে ২শত টাকা দিতে রাজি হয়।তখন সচিব আমিনুল করিম রেগে মেগে ভুক্তভোগীর হাত থেকে প্রত্যয়ন পত্রটি নিয়ে ছিড়ে ফেলে এবং বলে বাহির থেকে প্রত্যয়ন পত্র করে নিয়ে আসো।
এই সময় ভুক্তভোগী তার পরিচত সাংবাদিককে ফোন করে সহযোগী কামনা করেন।সচিবের কাছ গিয়ে প্রত্যয়ন পত্র না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে,সচিব তখন প্রত্যয়ন পত্র দেবে না বলে উচ্চবাচ্য করতে থাকে।উপস্থিত সাংবাদিক তাকে জিজ্ঞেস করে,আপনি প্রত্যয়ন পত্র অনলাইন থেকে প্রিন্ট করে গ্রাহককে দিয়ে সেটি আবার কেড়ে নিলেন কেন? সাংবাদিক নিজের পরিচয় দেন।কথাগুলো তিনি গোপনে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করার চেষ্টা করে।
তখন সে সাংবাদিকের মোবাইল হাত থেকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং ব্যর্থ হয়।স্থানীয়রা জানান, সচিব আমিনুল করিম ইউনিয়ন পরিষদকে দুর্নীতির আখড়া বানিয়ে ফেলেছে।ঘুষ ছাড়া সে কোন সেবা মানুষকে দেয় না।টাকা না দিলে মানুষকে দিনের পর দিন ঘুরাতে থাকে।আর টাকা দিলে শর্টকাট যেকোনো কাজ হয়ে যায়।স্থানীয়দের প্রশ্ন,আর কতকাল ইউনিয়ন পরিষদের এই সচিবের কাছে সাধারণ মানুষ জিম্মি থাকবে।